Comments

শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭

মাদারবোর্ড কেনার আগে যেসব বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানতে হবে

কম্পিউটার কিনতে হলে আপনাকে প্রসেসরের পরে বিবেচনা করতে হবে কি মাদারবোর্ড কিনবেন। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাকেজানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন মাদারবোর্ড আপনার দরকার। তো চলুন জেনে নেই:

১. সবসময় সর্বশেষ যে মাদারবোর্ডটি বাজারে এসেছে সেটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন।
২. সর্বশেষ মাদারবোর্ড সংগ্রহ করলেই হবে না আপনাকে দেখতে হবে আপনার এই মাদারবোর্ডটি কোন কোন স্পিডের প্রসেসরকে সাপোর্ট করে। নতুনদের ক্ষেত্রে চেষ্টা থাকা উচি ৎ বাজারের সর্বশেষ মডেলের প্রসেসর কেনা। সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ড উক্ত প্রসেসরকে সাপোর্ট করে কিনা সেটি জেনে নিন। সেটি না হলে উপযুক্ত মাদারবোর্ড বেছে নিন। যারা ইতিমধ্যে কমপিউটার ব্যবহার করছেন এবং কোন কারনে বর্তমানমাদারবোর্ডটি নষ্ট হয়ে গেছে তারা তাদের প্রসেসরের সাথে মিল রেখে নতুন মাদারবোর্ড সংগ্রহ করবেন।
৩. প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত এবং এগুলোর মধ্যে সাম Ä স্য আছে কিনা তা দেখে নিবেন।
৪. মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত তা জেনে নিন। স্পিড বেশি হলে কাজের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।
৫. অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেনমাদারবোর্ডের বাস স্পিড সঙ্গে ক্যাশ মেমোরির স্পিডও যেন সাম Ä স্যপূর্ণ হয়।
৬. ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে উক্ত মাদারবোর্ডটি সর্ব্বোচ্চ কত ক্ষমতা পরযন্ত র‌্যামকে সাপোর্ট করে সেটি দেখে নিন। যত বেশি র‌্যাম ব্যবহার করবেন আপনার পিসি তত বেশি দ্রুত কাজ করবে। এখন ব্যবহার না করলেও যেন পরবর্তিতে আপনি বাড়তি র‌্যাম লাগিয়ে নিতে পারেন সেটি বিবেচনায় রাখুন।
৭. মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্কলাগানোর জন্য কয়টি পোর্ট আছেতা দেখে নিন। বেশি পোর্ট থাকলে সেটি অবশ্যই আপনার জন্য ভাল।
৮. মাদারবোর্ডে কতগুলো ইউএসবি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। যত বেশি পোর্ট পাবেন তত বেশি ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
৯. মাদারবোর্ডে কি কি ধরনেরস্লট আছে এবং কয়টি করে আছে তাদেখে নিন। এ ক্ষেত্রে PCI এবং ISA স্লটগুলোর বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
১০. স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানকর্তৃক উক্ত মাদারবোর্ডটি ছাড়পত্র পেয়েছে কিনা তা দেখেনিন। যেমন: FCC কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র।
১১. বাজারে বেড়িয়েছে USB 3 ভার্সনের মাদারবোর্ড। যা অত্যন্ত স্পিডে (৫ গিগা/সে:) ইউএসবির মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে।
Share:

শনিবার, ১৩ মে, ২০১৭

মুসলিম আইনে তালাকের অধিকার

তালাকের অধিকার

তালাকের অধিকার কনটেন্টটিতে স্বামী-স্ত্রী কীভাবে তালাক দিতে পারেন, স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক, স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাক, হিল্লা বিয়ে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব, কাজীর দায়িত্ব মুসলিম পারিবারিক আইনে তালাক সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে ।

মুসলিম আইনে তালাকের অধিকার




সাইদ ও লোপার বিয়ের দুই বছর পর সাইদ লোপাকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। লোপা তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। বিয়ের পর থেকেই সাইদ ও তার বাবা-মা লোপাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। কারণ বিয়ের সময় লোপার বাবা যে যৌতুক দিতে চেয়েছিল টাকার অভাবে তার সব দিতে পারে নাই। বিয়ের সময় লোপার বাবা সাইদকে বলেছিল যে, আমন মৌসুমের পর সাইদকে তাদের দাবী মত টাকা ও মটর সাইকেল কিনে দিবে। কিন্তু গত দুই বছর আমনের ফলন কম হওয়ায় লোপার বাবা সাইদকে শুধু টাকা দিতে পারেন। মটর সাইকেল কিনে দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। লোপার বাবার বাড়িতে ফিরে আসায় তার বাবা-মা চিন্তায় পড়েন। এর কয়েক দিন পরেই সাইদ লোপাকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। লোপা কি করবে বুঝতে পারে না। প্রচন্ড অসহায়বোধ করে। বিয়ের আগে সে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছিল, তাই আইন সম্পর্কে তার কিছু ধারণা আছে। একদিন সে তার বাবার সাথে উকিলের কাছে যায় পরামর্শের জন্য। উকিল তাকে তালাকের অধিকার সম্পর্কে তথ্য জানান।
উকিল : মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে একটি চুক্তি। এই চুক্তি যে কোন পক্ষ রদ বা ভঙ্গ করতে পারেন। বিয়ের মাধ্যমে স্থাপিত সম্পর্ককে আইনগত উপায়ে ভেঙ্গে দেয়াকে তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদ বলে। স্বামী বা স্ত্রীর যে কোন একজনের ইচ্ছাতেও (শর্তাধীন) বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। কিন্তু তোমার স্বামী তোমাকে যৌতুকের জন্য তালাক দিয়েছে যা অন্যায়।
লোপা : তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর অধিকার কি সমান ?
উকিল : বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাতে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সমান নয়। এক্ষেত্রে স্বামীর ক্ষমতা বা  অধিকারই বেশি।
লোপা : স্বামী বা স্ত্রী কিভাবে তালাক দিতে পারে ?
উকিল : স্বামী-স্ত্রী নিম্নলিখিত উপায়ে তালাক দিতে পারেন:
  • স্বামী কর্তৃক তালাক (স্বামী আইনের নিয়ম মেনে যে কোন সময় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন।)
  • স্ত্রী কর্তৃক তালাক (স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়ে থাকেন অর্থাৎ তালাক-ই-তৌফিজের মাধ্যমে স্ত্রী কর্তৃক তালাক)
  • পারষ্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তালাক (খুলা বা মুবারত পদ্ধতিতে তালাক)
  • আদালতের মাধ্যমে তালাক।
লোপা : স্বামী কিভাবে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন ?
উকিল : একজন মুসলিম পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মস্তিস্কের পুরুষ যে কোন সময় স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন। কিন্তু সে মুখে বা লিখে যেভাবে তালাক দিক না কেন তালাক সাথে সাথে কার্যকর হবে না। ব্যাখ্যা: ১ 
লোপা : স্ত্রী কি স্বামীকে তালাক দিতে পারে ?
উকিল : একজন স্ত্র্রী যখন ইচ্ছা তখন স্বামীকে তালাক দিতে পারেন না। মুসলিম আইনে স্বামীকে তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী সীমিত অধিকার ভোগ করেন। নিম্নলিখিত যে কোন উপায়ে একজন স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারেন:

  •  
ক. স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে
খ. তালাক-ই-তৌফিজ-এর মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে
গ. খুলা’র মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে, এছাড়া
ঘ. স্বামী-স্ত্রী দুজনই মুবারতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। ব্যাখ্যা: ২
লোপা : হিল্লা বিয়ে কি ?
উকিল : প্রাচীন সমাজে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে গেলে তারা আবার বিয়ে করতে চাইলে মধ্যবর্তীসময়ে স্ত্রীকে আরেকটি বিয়ে করতে হত। এই দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাক্তি (স্বামী) স্ত্রীকে তালাক দিলে বা মারা গেলে স্ত্রী পুনরায় প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারত। এই মধ্যবর্তীকালীন বিয়েকে ‘হিল্লা’ বিয়ে বলে। তবে বর্তমানে হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাখ্যা: ৩ 
লোপা : বিয়ে-বিচ্ছেদ বা তালাকের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের কি কোন দায়িত্ব আছে ?
উকিল : বিয়ে-বিচ্ছেদ বা তালাকের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে ডেকে সালিশের ব্যবস্থা করতে পারেন। ব্যাখ্যা: ৪
লোপা : এক্ষেত্রে কাজী কি দায়িত্ব পালন করতে পারেন ?
উকিল : কাজীর দায়িত্বগুলো হলো :
  • জন্ম ও বিবাহের মতো তালাকও রেজিষ্ট্রি করতে হয়।
  • নিকাহ নিবন্ধক কাজী তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকার মধ্যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে তালাক রেজিষ্ট্রি করবেন।
  • তালাক রেজিস্ট্রির জন্য নিকাহ নিবন্ধক ২০০ টাকা ফি নিবেন (এই ফি সময়ে সময়ে সরকারী প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিবর্তন করা হয়)।
  • যে ব্যক্তি তালাক কার্যকর করেছে সে রেজিস্ট্রির জন্য আবেদন করবে এবং ফি দেবে।
  • উক্ত দুই পক্ষের মধ্যে সত্যি তালাক কার্যকর হয়েছিল কিনা তা নিকাহ নিবন্ধক পরীক্ষা করে দেখবেন।
লোপা : মুসলিম পারিবারিক আইনে তালাক সম্পর্কে কি বলা হয়েছে ?
উকিল : মুসলিম আইনে বিয়ে একটি চুক্তি, তাই এ চুক্তি নানা কারণে সমাপ্ত বা ভংগ করা যায়। মুসলিম পারিবারিক আইনে বিয়ের চুক্তি ভেঙ্গে বিয়ে-বিচ্ছেদ ঘটানো সম্ভব। ব্যাখ্যা: ৫
উকিল : তোমার বিয়ে কি রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল ?
লোপা : হ্যাঁ।
উকিল : তাহলে তুমি বুদ্ধিমানের কাজ করেছ। তালাক হলে তুমি তোমার দেনমোহর পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।
সাইদ তালাক বহাল রাখার কারণে লোপা ও সাইদের বিয়েটা টেকে না। তবে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রিশন হওয়ার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের পর লোপা সাইদের কাছ থেকে দেনমোহর ও ভরণপোষণ পান।
সচরাচর জিজ্ঞাসা 
প্রশ্ন ১. মুখে মুখে তালাক দিলে তালাক কার্যকর হবে কি ?
উত্তর. না, ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টেশন আইন অনুযায়ী কাজীর মাধ্যমে তালাক দিতে হবে এবং তালাকের নোটিশ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে অথবা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনকে পাঠাতে হবে।
প্রশ্ন ২. স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে নোটিশ প্রদান ছাড়া তালাক দিলে তালাক কি কার্যকর হবে ?
উত্তর. হ্যাঁ, তালাক কার্যকর হবে, তবে নোটিশ প্রদান না করায় স্বামীর ১ বছরের কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড হবে।
প্রশ্ন ৩.স্বামী কি স্ত্রীকে কোন কারণ ছাড়াই তালাক দিতে পারেন ?
উত্তর. হ্যাঁ, স্বামী-স্ত্রীকে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই তালাক দিতে পারেন।
৪. স্ত্রী কি স্বামীকে কোন কারণ ছাড়া তালাক দিতে পারেন ?
উত্তর. না, আইনে উল্লেখিত কারণ ছাড়া স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারেন না।
৫. গর্ভাবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে তালাক কি কার্যকর হয় ?
উত্তর. না, গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে তালাক কার্যকর হয় না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করে ৯০দিন পর তালাক কার্যকর করতে হয়।
৬. বিচ্ছেদপ্রাপ্ত/ তালাকপ্রাপ্ত স্বামী- স্ত্রী কি পুনরায় ঘর সংসার করতে পারেন? 
উত্তর. ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ (৬) ধারা অনুসারে তালাকের মাধ্যমে কোন বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে, বিচ্ছেদপ্রাপ্ত/ তালাকপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী পুনরায় একত্রে ঘর- সংসার করতে চাইলে নতুন করে নিয়ম অনুসারে বিয়ে করতে হবে; তবে পুনর্বিবাহ করে ঘর-সংসার করায় আইনতঃ কোন বাধা নেই।
 তথ্যসূত্র 
  1. মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১।
  2. মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টেশন আইন, ১৯৭৪।
  3. মুসলিম পারিবারিক আইন, পৃষ্ঠা নং ৩2, পারিবারিক আইনে বাংলাদেশের নারী, প্রথম প্রকাশ: জুন-১৯৯৭, আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
  4. এ্যাডভোকেট, আলী, সালমা, বিয়ে, বিচ্ছেদ ও স্ত্রীর তালাকের অধিকার, পৃষ্ঠা নং ১, নারী ও আইন, চতুর্থ সংস্করণ: ডিসেম্বর ১৯৯৩, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি।
  5. চৌধুরী, শামিমা, নিবন্ধ-তালাক: নারী বিরোধী লোকাচার, উন্নয়ন পদক্ষেপ, দ্বাদশ বর্ষ, নবম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০০৬।

মুসলিম আইনে তালাকের অধিকার : ব্যাখ্যা
ব্যাখা: ১ 
◊    ১৯৬১ সালের পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭(১) ধারা অনুযায়ী যে ব্যক্তি তালাক দিবেন তিনি লিখিত ভাবে তালাকের নোটিশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন বরাবরে ও স্ত্রীর কাছে একটি নোটিশ পাঠাবেন।
  • নোটিশ না পাঠালে ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড হবে।
  • নোটিশ পাবার ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান/মেয়র শালিসী পরিষদ গঠন করবেন এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা আনার চেষ্টা করবেন।
  • শালিসী পরিষদ উভয়কে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতি ৩০ দিনে ১টি নোটিশ করে মোট ৩টি নোটিশ প্রদান করবেন। এর মধ্যে স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার না করলে তালাক কার্যকর হবে। স্বামীকতৃর্ক নোটিশ প্রত্যাহার করলে তালাক কার্যকর হবে না।
  • তালাক প্রদানের সময় স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে তালাক কার্যকর হবে না। তবে সন্তান প্রসব হওয়ার পর পর্যন্ত নোটিশ বহাল রাখলে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে। কিন্তু এর মধ্যে স্বামী নোটিশ প্রত্যাহার করলে তালাক কার্যকর হবে না।
  • ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে অধ্যাদেশের কোথাও নোটিশ প্রধান না করলে তালাক হবে না একথা উল্লেখ নাই। তবে স্বামী শাস্তি পাবেন।
  • তালাকের ক্ষেত্রে স্বামী যখন ইচ্ছা তখন একতরফাভাবে তালাক দিতে পারেন। তাকে তালাকের কারণ দেখাতে হয়না। কেন স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিলেন তা স্ত্রী জানতে চাইতে পারেন না। এটি স্বামীর একতরফা ক্ষমতা।
ব্যাখা: ২
ক. আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ 
১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচেছদ আইন অনুযায়ী একজন স্ত্রী কি কি কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে  আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন তা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছেঃ
  1. চার বৎসর যাবৎ স্বামী নিরুদ্দেশ থাকলে বা কোন খোঁজ খবর না রাখলে।
  2. দুই বৎসর ধরে স্ত্রীর খোরপোষ প্রদানে স্বামী অবহেলা করলে বা ব্যর্থ হলে।      
  3. স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।
  4. স্বামী ৭ বছর বা তার চেয়ে বেশী সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হলে।
  5. স্বামী কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছর ধরে তার দাম্পত্য দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে।
  6. বিয়ের সময় স্বামী পুরুষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করার সময় পর্যন্ত বজায় থাকলে।
  7. স্বামী দুই বৎসর ধরে অপ্রকৃতিস্থ থাকলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্থ বা মারাত্মক যৌনরোগে আক্রান্ত থাকলে।
  8. আঠারো বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগে অর্থাৎ নাবালিকা অবস্থায় স্ত্রীর বিয়ে হয়ে থাকলে এবং উনিশ বৎসর হওয়ার আগেই স্ত্রী বিয়ে অস্বীকার করলে। তবে এক্ষেত্রে স্বামীর সাথে দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলে এরকম মামলা দায়ের করা যাবে না।
  9. নিম্নলিখিত যে কোন অর্থে স্বামী স্ত্রীর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করলে-                                             
  ক. স্বামী যদি স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকেন;    
  খ. স্বামী খারাপ চরিত্রের মেয়েদের সাথে মেলামেশা করলে কিংবা নৈতিকতা বর্জিত জীবন যাপন করলে;
  গ. স্ত্রীকে জোর পূর্বক নৈতিকতাবিহীন জীবন-যাপনের জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করলে;          
  ঘ. স্ত্রীর অমতে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করলে কিংবা স্ত্রীকে তার সম্পত্তির ওপর বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা দিলে; 
  ঙ. স্ত্রীকে তার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে বাধা প্রদান করলে।  
 চ. যদি স্বামীর একাধিক স্ত্রী থেকে থাকে এবং পবিত্র কুরআনের নির্দেশ অনুসারে স্বামী তাদের সাথে সমান ব্যবহার   না করলে।
১০. মুসলিম আইনে স্বীকৃত অন্য যে কোন যুক্তিসংগত কারণের উপরও স্ত্রী আদালতে তালাকের অনুমতির জন্য মামলা করতে পারেন।

আদালত বিয়ে বিচ্ছেদের ডিক্রি দিলে ডিক্রির একটা সত্যায়িত কপি আদালতের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে হবে। চেয়ারম্যান নোটিশটিকে তালাকের নোটিশ হিসেবে গণ্য করে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করবেন। চেয়ারম্যান যেদিন নোটিশ পাবেন তার ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে।

খ. তালাক-ই-তৌফিজ-
‘কাবিন নামা’র ১৮ নং কলামে স্বামী কতৃর্ক স্ত্রীকে বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষমতা দেয়াকে ‘তালাক-ই-তৌফিজ’ বলে। এই ‘তালাক-ই-তৌফিজের’ ক্ষমতা দেয়া থাকলে স্ত্রী আদালতের আশ্রয় ছাড়াই স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। এক্ষেত্রে স্বামীর মতোই স্ত্রী তালাকের নোটিশ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবেন ও এক কপি স্বামীর কাছে পাঠাবেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে।
গ. খুলা- 
খুলা তালাক হলো স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর দাম্পত্য অধিকার থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রস্তাব। এক্ষেত্রে স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে স্বামীকে বিচ্ছেদের বিষয়ে রাজী করানোর চেষ্টা করবেন। স্বামী রাজী থাকলে এভাবে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। বিচ্ছেদের উদ্যোগ অবশ্যই স্ত্রীর কাছ থেকে হতে হবে।
ঘ. মুবারত- 
স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে-বিচ্ছেদ সম্পন্ন হলে তাকে মুবারত বলে। যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদের ইচ্ছাদি পারস্পারিক হয় তখন একপক্ষ প্রস্তাব করে এবং চুক্তির মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। যিনি বিয়ে বিচ্ছেদের প্রস্তাব দিবেন তিনিই নোটিশ পাঠাবেন।
ব্যাখা: ৩
◊      ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
  • ১৯৬১ সালের আইনে তালাকের পর স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ে করতে চাইলে হিল্লা বিয়ের দরকার হয় না।
  • তবে পর পর ৩ বার তালাক হলে তৃতীয় বারের পর স্বামী ১ম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করতে চাইলে স্ত্রীকে আরেকটি বিয়ে দিয়ে তারপর সেই বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে প্রথম স্বামী স্ত্রীকে আবার বিয়ে করতে পারবেন।
ব্যাখা: ৪
বিয়ে-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হলো ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুসারে যে নোটিশ তাকে দেয়া হয় তা পাবার ৩০ দিনের মধ্যে উভয় পক্ষকে ডেকে সলিশের ব্যবস্থা  করা । সালিশে পুনর্মিলনের একটি সম্ভাবনা থাকে বলে এখানে চেয়ারম্যান ও সালিশী পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম।
ব্যাখা: ৫
◊         তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন ও স্ত্রী কর্তৃক শর্ত সাপেক্ষে তালাকের অধিকার প্রদানসহ মুসলিম পরিবারের পারিবারিক সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৩৯ সালে মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন এবং ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ আইন জারি করা হয়।
  •  বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে এই আইনকে পরিমার্জন ও গ্রহণযোগ্য করা হয়।
  •  ১৯৭৪ সালে মুসলিম বিবাহ তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন প্রণীত হয়। মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর বৈধ স্বত্ত্ব-স্বার্থ নির্ধারণ করে স্ব স্ব স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন একত্রীকরণ ও সংশোধন করে এটি প্রণয়ণ করা হয়।
  •  এরপর বিবাহ-তালাক বিধিমালা রেজিস্ট্রেশন ১৯৭৫ সালে জারি করা হয়।
  • বিবাহ- বিচ্ছেদ, দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব ইত্যাদি পারিবারিক বিষয়াদির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ প্রণীত হয়।
Share:

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

এবার ঘরে বসে তৈরী করুন রোবোট, জেনেনিন কিভাবে রোবোট তৈরী করবেন।

পৃথিবীর সব উন্নত দেশ আজ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে. কিন্তু আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আজও প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে আছে| তাই চলুন আর নয় পিছিয়ে থাকা… এবার প্রযুক্তিতে  সমানে এগিয়ে যাই।
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তি রোবট| এই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে যুদ্ধে, উদ্ধারকাজে, মহাশূন্যে| যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তারা আমদের দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে গেছে| ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে এই রোবট প্রযুক্তি  ব্যবহার এর কারণে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী খুব সহজেই দেশ দুটিকে দখল করেছে|
আজ আমরা এই রোবট প্রযুক্তির খুবই ক্ষুদ্র কিন্তু কার্যকর একটি রোবট বানাবো, হয়তোবা আমাদের এই  প্রচেষ্টাটি ক্ষুদ্র কিন্তু এটি আপনাদের সামনে আধুনিক প্রযুক্তির একটি দ্বার উন্মুক্ত করে দিবে|

চলুন রোবটটি বানাই:

এই রোবটটি সামনে থাকা যে কোনো বাধা সয়ংক্রিয় ভাবে নির্ণয় করবে এবং সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে। এই প্রযুক্তিটি বর্তমানে যেকোনো সয়ংক্রিয় রোবট, ড্রোন, মনুষ্যবিহীন আকাশযান ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও এই প্রযুক্তিটি চালক বিহীন গাড়িতে ব্যবহৃত হচ্ছে। রোবটিক্সে এই প্রযুক্তিটি প্রচুর ব্যবহৃত হয়|
এই রোবটটি বানাতে যা যা যন্ত্রপাতি লাগবে……….
(প্রয়োজনীয় পার্টস গুলো store.roboticsbd.com তে পাওয়া যাবে|
  • Arduino বোর্ড
  • মোটর ড্রাইভার বোর্ড
  • রাডার সেন্সর (Sonar Sensor)
  • রোবটের চাকা
  • বল চাকা
  • Breadboard
  • রোবটের বডি
  • গিয়ার্ মোটর
  • Jumper Wire
  • ড্রিল মেশিন
  • স্ক্রু ড্রাইভার
  • স্ক্রু
  • Soldering iron ও লিড
  • ৬-৮ ভোল্ট এর লিথিয়াম ব্যাটারী
  • পাওয়ার জ্যাক
প্রযোনীয় যন্ত্রপাতি গুলো store.roboticsbd.com থেকে কেনা যাবে|

প্রথম ধাপ রোবটের বডি

রোবটের বডি বানাতে প্রথমে দুটি হার্ড বোর্ড লাগবে. যে কোনো হার্ডওয়্যার এর দোকান থেকে এই হার্ড বোর্ড কেনা যাবে|


 আয়তাকার হার্ডবোর্ডটি ৭ ইঞ্চি বাই ৫ ইঞ্চি এবং গোলাকার হার্ডবোর্ডটি ৩.৫ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ নিতে হবে|   গোলাকার হার্ড বোর্ডটিতে অর্দুইনো এবং মোটর ড্রাইভারটি স্ক্রু দিয়ে লাগাতে হবে, ঠিক নিচের ছবিটির মত|                                              (বোর্ড টি ড্রিল করতে হবে)
 
আয়তাকার হার্ড বোর্ড এর দুই পাশে দুইটি গিয়ার্ মোটর স্ক্রু দিয়ে লাগাতে হবে (বোর্ড টি ড্রিল করতে হবে)



বোর্ড এর অপর পাশে বল চাকাটি দুটি স্ক্রু দিয়ে সামনের দিকে ঠিক মাঝখানে লাগাতে হবে   (বোর্ড টি ড্রিল করতে হবে)



চারটি স্ক্রু Extender দ্বারা উপরে বৃত্তাকার হার্ডবোর্ডটি আয়তাকার হার্ডবোর্ড এর সাথে লাগাতে হবে  (বোর্ড টি ড্রিল করতে হবে)
একটি ছোট breadboard এর উপর রাডার সেন্সরটিকে বসাতে হবে এবং breadboard টিকে রোবটের চেসিস এর সামনে স্থাপন করতে হবে|
 এভাবে আমাদের রোবটের চেসিস তৈরী করা সম্পন্ন হবে|


দ্বিতীয় ধাপ  (ইলেকট্রিক কানেকশন )

ইলেকট্রনিক্স সিস্টেমে আমরা Atmel বেসড যেকোনো Arduino Board ব্যবহার করবো এবং রোবটের গিয়ার্ মোটর চালাতে মোটর ড্রাইভার বোর্ড ব্যবহার করবো.
মোটর ও মোটর ড্রাইভারের কানেকশন
মোটর এর দুটি পয়েন্ট এ একটি লাল ও নীল্ তার Solder করে লাগাতে হবে এবং সেই তারগুলো কে মোটরড্রাইভার বোর্ড এর সাথে উপরোক্ত চিত্র অনুসারে স্ক্রু এর সাহায্যে লাগাতে হবে
Arduino কানেকশন
উপরোক্ত চিত্র অনুসারে আমরা Arduino বোর্ড কে মোটর ড্রাইভার এবং রাডার সেন্সর এর সাথে কানেক্ট করব. এক্ষেত্রে আমরা jumper ওয়্যার ব্যবহার করতে পারি. রাডার সেন্সর টি কে breadboard এ বসিয়ে কানেকশন দিলে সুবিধা হবে  
ব্যাটারী কানেকশন এবং পাওয়ার সিস্টেম
যেকোনো ৬ থেকে ৮ ভোল্ট এর লিথিয়াম ব্যাটারী এই রোবটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত| ব্যাটারী কানেকশন এর ছবিটি নিচে দেওয়া হলো
ব্যাটারী এবং মোটর ড্রাইভার এর কানেকশন তার দিয়ে দিতে হবে|ব্যাটারী এর + মোটর ড্রাইভার এর VMS এ কানেক্ট হবে|ব্যাটারী এর – মোটর ড্রাইভার এর GND এ কানেক্ট হবে|এরপর পাওয়ার জ্যাক এর মাধ্যমে অর্দুইনো বোর্ড এ পাওয়ার দিতে হবে|

তৃতীয় ধাপ  (প্রোগ্রামিং)

Arduino  প্রোগ্রামিং:
অর্দুইনো বোর্ডটিতে পাওয়ার দিতে হবে|
অর্দুইনো প্রোগ্রামিং এর জন্য প্রথমে অর্দুইনো সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে| আমাদের প্রোগ্রাম করা প্রজেক্টটি ডাউনলোড করুন এবং অর্দুইনো সফটওয়্যার দিয়ে অদুইনো বোর্ড এ প্রোগ্রাম টি আপলোড করুন| (FOR ARDUINO PROGRAM & OUR PROJECT PROGRAM PLEASE CLICK HERE )
প্রথমে File এ গিয়ে Open এ ক্লিক করুন এবং আমদের রোবট এর প্রজেক্টটি সিলেক্ট করুন|
যে অর্দুইনো বোর্ড ব্যবহার করছেন সেটি সিলেক্ট করুন|

 অর্দুইনো যে COM পোর্ট টি ব্যবহার করছে সেটি সিলেক্ট করুন…

রোবটের প্রোগ্রামটি আপলোড করুন…..

এখন যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে পাওয়ার দিলে আমাদের রোবট টি নিজে নিজে চলা শুরু করবে এবং সামনে কোনো বাধা পেলে তা থেকে দুরে সরে যাবে| এভাবে রোবটটি নিজেকে দিক নির্দেশনা দিবে|
Share:

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

কম্পিউটারের প্রসেসর কেনার আগে কি কি বিষয় খেয়াল করবেন

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে। মূলত একেই CPU (Central Processing Unit) বলে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device)। এই দুটি কোম্পানিই ভালো। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কিছু প্রযুক্তিগত দিক থেকে Intel এগিয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে AMD ও তাদের APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরের ম্যাধ্যমে বাজারে সুলভ মূল্যে বেশ কিছু ভাল প্রসেসর এনেছে। বর্তমানে বাজারে computer and accessories বাজার দর দেখুন।
যেহেতু প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে এবং যার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি কেনার সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।
১. প্রসেসরের Clock Speed কত, সেটা লক্ষ্য করতে হবে। ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতাও তত বেশি হবে। শুধু clock speed নয়, প্রসেসরের Cache Memory (ক্যাশ মেমরি) কত তাও লক্ষ্য করতে হবে। ক্যাশ মেমরির মধ্যে প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাশ মেমরি হল L3 Cache। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রসেসরে কয়টি কোর(core) এবং কয়টি থ্রেড(thread) আছে তা খেয়াল করতে হবে। কোর এবং থ্রেড এর সংখ্যা বেশি হলে স্পিড বাড়বে। এছাড়া FSB (Front Serial Bus) এর পরিমাণ লক্ষ্য করতে হবে। FSB বেশি হলে স্পিড বেশি হবে। তাই মাদারবোর্ডের বাস স্পিডের সাথে মিল রেখে প্রসেসর কেনা উচিৎ। যদিও নতুন প্রসেসর গুলোতে FSB ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে QPI ব্যবহৃত হয়।
২. প্রসেসরের সিরিজ কী, সেটাও খেয়াল রাখার একটি বিষয়। কারণ সিরিজ যত উন্নত হবে, প্রসেসর মান বাড়বে। Intel এর প্রথম দিককার প্রসেসর এর মধ্যে রয়েছে, Pentium Series। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এসেছে, Celeron series, Core Series, i Series। তেমনি AMD এর প্রসেসর গুলো হল Sempron, Athlon, AMD Athlon X2, AMD Athlon II X2, AMD Phenom, AMD FX, AMD APU ইত্যাদি। তাই সবসময় নতুন সিরিজের প্রসেসর কেনা ভাল। কিন্তু প্রসেসরটি যেন আপনার মাদারবোর্ডে সমর্থন করে সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. প্রসেসরের একটি বিশেষ ফিচার হল Hyper Threading Technology। কারণ এ প্রযুক্তি Multitasking কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা রাখে। এছাড়া Intel প্রসেসরের ক্ষেত্রে Turbo Boost Technology রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এই প্রযুক্তি বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনের সময় প্রসেসরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. প্রসেসরে GPU (Graphics Processing Unit) রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইল থেকে নির্বাচিত মডেলের প্রসেসরের স্পেসিফিকেশন দেখে নিন। প্রসেসরে GPU থাকলে এবং ভালো মাদারবোর্ড ব্যবহার করলে External Graphics Card প্রয়োজন হয় না। AMD এর APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরে আলদা Graphics Processing Unit রয়েছে। যা দিয়ে হাই ডেফিনেশন ভিডিও,গেমস ও অন্যান্য গ্রাফিকাল কাজ করা যায়।
৫. প্রসেসরেটি যে দোকান থেকে কিনছেন সেই দোকানের ক্রেতাদের কীরূপ গ্রাহক সেবা দেয় তা জেনে নেওয়া ভাল। সেক্ষেএে পরিচিত লোকদের সাহায্য নিতে পারেন। বাজারে অনেক সময় খোলা হার্ডওয়্যার পাওয়া যায়। কখনোই এগুলো কেনা উচিৎ নয়।প্রসেসর ক্রয় করার পূর্বে পূর্বোল্লিখিত লক্ষণীয় বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখা উচিৎ।
আশা করি এই আর্টিকেলের ম্যাধ্যমে প্রসেসর ক্রয় করতে সুবিধা পাবেন। ধন্যবাদ।
Share:

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

এবার ফ্রিতে খেলুন ক্লাস অফ ক্লান (Clash of Clans)


আপনাদের মদ্ধে অনেকেই ক্লাশ অফ ক্লান খেলেন। কিন্তু এতে আপনাদের  অনেক ডাটা খরচ হয়।কিন্তু উদার মনের গ্রামিনফোন তাই আপনারা যারা coc ইউজার তারা প্রতিদিন পাবেন ফ্রি ১৫ মেগা.বাইট।
কার্জপ্রণালী:
প্লে স্টোর হতে data eye আ্যপটি ইন্সটল করুন Data connection অন রাখতে হবে তারপর offer এ গিয়ে coc daily 15 md pack offer টি claim করতে হবে। এরপর ব্যাক এ এসে একটি on/off বাটন দেখতে পাবেন,সেটি on করতে হবে।এরপর coc ফ্রি খেলুন।

Share:

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডে ৮৪ পদে চাকরি

পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডে ৮৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। মোট ২০ ধরনের পদে এ জনবল নিয়োগ দেবে কোম্পানিটি। পদগুলোর মধ্যে রয়েছে :
সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ বা নিরাপত্তা) পদে ১৮ জন, সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব বা নিরীক্ষা) পদে আটজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (মেকানিক্যাল) পদে সাতজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (কেমিক্যাল) পদে তিনজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (ইলেকট্রিক্যাল) পদে তিনজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (পেট্রোলিয়াম) পদে দুজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে দুজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (কম্পিউটার সায়েন্স) পদে একজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (টেলিকম) পদে একজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (ভূতত্ত্ব) পদে দুজন, সহকারী ব্যবস্থাপক (রসায়ন) পদে দুজন, মেডিকেল অফিসার পদে দুজন, সহকারী কর্মকর্তা (সাধারণ বা নিরাপত্তা) পদে ১০ জন, সহকারী কর্মকর্তা (হিসাব বা নিরীক্ষা) পদে ছয়জন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (মেকানিক্যাল) পদে আটজন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (কেমিক্যাল) পদে তিনজন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (ইলেকট্রিক্যাল) পদে দুজন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (সিভিল) পদে একজন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (পাওয়ার) পদে দুজন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (আর্কিটেকচার) পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ভিন্ন পদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার (বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত) প্রয়োজন হবে। পদগুলোতে মর্যাদা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে ২২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত ।
প্রার্থীদের বয়স ২৩ অক্টোবর-২০১৬ তারিখে ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।
আগ্রহী প্রার্থীরা বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ৩ থেকে ২৩ অক্টোবর-২০১৬ তারিখ পর্যন্ত।
বিস্তারিত জানতে দৈনিক দি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় ২৫ সেপ্টেম্বর-২০১৬ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি দেখুন।

Share:

এটাই কি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ?



ব্রাজিলের একটি নির্মাণ প্রকল্পের কর্মীরা পারা প্রদেশের একটি গুহায় ৩৩ ফুট লম্বা একটি এ্যানাকোন্ডা সাপ খুঁজে পেয়েছেন - যাকে মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সাপ।
গিনেস রেকর্ড বুক অনুযায়ী বন্দী অবস্থায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপটি আছে আমেরিকার কানসাসের একটি প্রতিষ্ঠানে। মেডুসা নামের এই পাইথনটির দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
কিন্তু ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় পারা প্রদেশের আলতামিরা গুহায় পাওয়া এ্যানাকেন্ডা সাপটির দৈর্ঘ্য যে আরো ৮ ফুট বেশি তাই নয়, এর ওজন হচ্ছে ৬৩ স্টোন বা ৩৭৮ কেজি।
ব্রিটেনের দৈনিক সান জানাচ্ছে, সাপটির দেহের সবচেয়ে মোটা অংশটির ব্যাস হচ্ছে প্রায় এক মিটার।
গুহাটিতে নির্মাণ কাজের জন্য নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় কর্মীরা সাপটি দেখতে পান। ক্রেনে করে সাপটিকে তোলা হয় এবং এর একটি ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করা হয়।
সাপটিকে এতে মৃত অবস্থায় দেখা গেছে। অভিযোগ করা হয়, নির্মাণকর্মীরা তাকে মেরে ফেলেছে।
তবে অন্য অনেকে বলছেন, সম্ভবত বিস্ফোরণের কারণে পাথর মাথায় পড়ে সাপটি মারা গেছে, কারণ ভিডিওতে তার মাথা থেঁতলানো দেখাচ্ছিল।
Share:

আপনার উইনডোজ ৭ কে করেফেলুন উইনডোজ ৮ ছোট একটি সফটয়ার দিয়।

আসসালামু আলাই কুম। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আনেক শুভেচ্ছা ও সাগ্বতম।  আমারা অনেকে আছি যারা পেনড্রাইভ দিয়ে সেভেন সেটাপ দিতে জানি কিন্তু windows 8 দিতে গেলে আনেক ঝামেলায় পড়ে যাই যেমন বিজয় সেটাপ দিতে বা অন্য সফটয়ার সেটাপ দিতে অনেক সমস্যা হয়। তাদের জন্য নিয়ে এলাম খুশির বার্তা নিচের সফটয়ার টি ডাউনলোড করুন এবং মনের মত সেটাপ দিয়ে খুশি করুন।
http://download.soft32.net/41/403475/1225917/8TP9.zip

Share:

বাজারে এল ক্রেডিট কার্ডের মত পাতলা ফোন।

ক্রেডিট কার্ডের মত পাতলা ফোন বাজারে এসেছে। যার আয়তন ও পুরুত্ব ক্রেডিট কার্ডের মত। এই ফোন আপনার মানিব্যাগ কিংবা ওয়ালেটে ক্রেডিট কার্ডের মতই রাখা যাবে। হালকা এবং পাতলা হওয়ার কারণে এই ফোন বহন করাও সহজ। পাতলা ও ছোট আকারের এই ফোনটি উৎপাদন করেছে আইকার্ড ফোন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ই-কর্মাস ওয়েবসাইটগুলো এই ফোনগুলো বিক্রি করছে।
I card phone


আইকার্ড ফোনের সবচেয়ে পাতলা ফোনটি হলো ৪.৮ মিলিমিটার পুরুত্বের। এটাকে বলা হচ্ছে মিনি সেল ফোন। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ও ছোট মোবাইল ফোন।

ফোনটি এমপিথ্রি প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে ভাইব্রেশন রিংটোনও আছে। সাদা রঙের এই ফোনটি জিএসএম ক্লাশ ৮৫০/৯০০/১৮০০/১৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। এটিতে ইংরেজি এবং রুশ কিবোর্ড রয়েছে। এছাড়া ফোনটি মাল্টি ল্যাংগুয়েজও সমর্থন করে।
বর্তমানে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্ড মোবাইল তৈরী করেছে। যে ফোনগুলোতে বিশেষ ফিচার হিসেবে রয়েছে, ব্লুটুথ, শক ফাংশন, মেসেজ, এমপিথ্রি ফাংশন এবং এফএম রেডিও রয়েছে।
ফোন গুলোতে ব্যাটারি রয়েছে ৩২০ মিলিঅ্যাম্পায়ার আওয়ারের। ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে ৪-৫ ঘণ্টা কথা বলা যাবে। অন্যদিকে এটি ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা স্ট্যান্ডবাই মোডে সচল থাকবে।
Share:

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

এবার এন্ড্রোয়েড দিয়ে ইন্টারনেট থেকে আয় করুন খুব সহজে Short লিংক তৈরি করে ।

বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমিও ভালো আছি ।  



ইন্টারনেটে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম আছে, তবে ইন্টারনেটে যারা কাজ পারে না তারা বেশির ভাগই PTC সাইট এর সাথে জড়িত । আর বেশির ভাগ PTC সাইট fake . আপনার যদি ইন্টারনেটে ইনকাম করার মন মানসিকতা থাকে তবে সঠিক পথের সন্ধান করুন ।
ইন্টারনেটে আবার অনেকে আউটসোর্সিং করে, তবে আউটসোর্সিং প্রকৃত পক্ষে একটি ভালো কাজ কিন্তু এর জন্য ট্রেনিং এর প্রয়োজন । আসলে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে হলে সবদিক দিয়েই দক্ষ হতে হয় ।
আচ্ছা যাই হোক.
আজকে আমার যেই বিষয়ে টিউন করা এই বিষয়েই বলি ।
অনেকেই অনেক মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে, তার মধ্যে short link তৈরি করে ইনকাম করাও একটি ।
মনে করুন আপনি বিভিন্ন জায়গায় লিংক শেয়ার করেন যেমন: ফেইসবুক, টুইটার, ফোরাম ইত্যাদি । যেই লিংকটি শেয়ার করেন সেটি যদি short লিংক তৈরি করে করেন তাতে সমস্যা কি ? এমনই একটি short link তৈরি করার সাইট add.ly যেখানে short link তৈরি করে অনেকে অনেক টাকা ইনকাম করে , তাইলে আপনি কেন করবেন না ।
আর কথা হলো এই সাইট অনেক দিন ধরেই টাকা দেয় তাই ধোকা খাওয়ার চান্স নেই । এখানে সর্বনিম্ন টাকা উঠানো যাবে 5$ ।
টাকা উঠা যাবে payza, PayPal, তে । আর এই সাইটে চাইলে আপনি আপনার ওয়াপসাইট যোগ করেও ইনকাম করতে পারেন । আর বন্ধুরা, সাইটটির একটি এন্ড্রোয়েড এপস ও আছে এখান থেকে এপসটি নিয়ে নিন এপস এর মাধ্যমে কাজ আরও দ্রুত করতে পারবেন ।
সাইটটি এখান থেকে রেজিসট্রেশন করুন আর বন্ধুরা, সাইটটি যেহে তু 100% পেমেন্ট দেয় অবশ্যই এখানে বিশ্বাস এর সাথে কাজ করতে পারেন ।
কোন সমস্যার জন্য আমি আপনাদের পাশে সারাক্ষন আছি ফেইসবুকে
তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি । আরও কিছু জানার প্রয়োজন হলে কমেন্ট করুন । আশা করি আপনার উত্তরটি পাবেন । ধন্যবাদ সবাইকে ।

Share:

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আপনার সিমের ডিলিট হয়ে যাওয়া নাম্বার সমুহ ফিরিয়ে আনুন খুব সহজেই আপনার পিসি বা ল্যাপটপের সাহায্যে, জেনে নিন কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন।


আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লা্হ ,সকল ভাইবোন বন্ধুরা কেমন আছেন আ্শা রাখি মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন ।
আমিও আপনাদের সকলের দোয়ার বরকতে ভালো আছি ,আজকে মনটা ভাল তাই ল্যাপটপটা খুলে লেখতে বসলাম, চলুন কাজে ফিরি
আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে ইচ্ছে করে কিংবা ভুল করে মেসেজ অথবা সেভ করা নাম্বার ডিলেট করে ফেলি।
কিন্তু পরে দেখা যায় ডিলেট হয়ে যাওয়া ওই মেসেজ এবং নাম্বার প্রয়োজন পড়ে যায়।
তখন পরতে হয় বিড়ম্বনায়। কখনো কখনো অনেকে জরুরী কোন মেসেজ কিংবা নাম্বার ডিলেট করে খুব বিপদে পরে যায়। কারণ
এগুলো ফিরে পাওয়ার কোন পথ থাকেনা।
এখন থেকে এই বিপদ আপনি নিজে নিজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এর জন্য ছোট একটা সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে। আপনাদের জন্য সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন আপলোড করেছি।

মাত্র ৪৫০ কে.বি সাইজের ছোট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে গিয়ে
Data Doctor Recovery –Sim Card.zip
নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
এবার আনজিপ করে সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে সেটাপ দিন। এবং রেজিষ্ট্রেশন করতে যে কোন নাম এবং ইমেইল দিয়ে টেক্সট ফাইলের মধ্যে থেকে
৪টি সিরিয়াল নাম্বারের যে কোন একটি ব্যবহার করে সফটওয়্যারটি ফুল ভার্সন করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে একটু বলে দেই।
এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি যে কোন দেশের সব ধরনের GSM SIM Card এর মেসেজ অথবা নাম্বার রিকভার করতে পারবেন।
ইনবক্স, আউটবক্স, ড্রাফট, সেন্ড আইটেম সকল জায়গা থেকে ডিলেট হয়ে যাওয়া মেসেজ যে সেন্ড করেছে তার নাম্বার সময়, তারিখ এবং জায়গার নামসহ
রিকভার করা যাবে।
এর মাধ্যমে সিম কার্ডের IMSI নাম্বার, ICC মোবাইল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার, সার্ভিস প্রোভাইডার নাম্বার এবং আরও অনেক তথ্য
জানতে পারবেন।
PC/SC অথবা Phoenix স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড রিডার দিয়ে সিম কানেক্ট করে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে কাজ
করতে পারবেন।
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি প্রচললিত সব ধরনের উইন্ডোজ
যেমনঃ Windows 2000, Windows 2003, Windows XP, Windows 7, Windows Vista ,Windows 8 , Windows 10 তে
সাপোর্ট করে।
মনে রাখবেন, সিম কার্ড পিসি তে কানেক্ট করে এই সফটয়্যার দিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই PC/SC অথবা Phoenix
স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড রিডার ব্যবহার করতে হবে।
ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে গিয়ে GSM SIM Card Reader খুজলেই পাবেন। আশা করি
সবাই এখন থেকে কাজটি করতে পারবেন এবং অনেক উপকৃত হবেন।
Share:

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য যে বিষয় গুলো জানা প্রয়োজন। এখনই জেজে নিন।


প্রথমদিকে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) গুরুত্ব সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন ছিলেন না। কিন্তু দিন দিন নাগরিকদের কাছে এনআইডির গুরুত্ব বাড়ছে। এখন ব্যাংক হিসাব থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, জমিজমা বিক্রি করাসহ নানা কাজে এর ব্যবহার হচ্ছে। আর এসব কাজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অনেকের এনআইডিতেই বিভিন্ন তথ্য ভুল রয়েছে, যা সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ছে।
এখন এনআইডির সংশোধন নিয়ে একেকজনের মনে একেক ধরনের প্রশ্ন আসে। এনআইডির কোনো তথ্য সংশোধনের জন্য কী করতে হবে এসব প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো—
প্রশ্ন : কার্ডের তথ্য কীভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তর : এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
প্রশ্ন : কার্ডে কোনো সংশোধন করা হলে তার কি কোনো রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তর : সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
প্রশ্ন : ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কী কী সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তর : জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
প্রশ্ন : ‘আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে’- এ ক্ষেত্রে কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর : সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কী?
উত্তর : নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন কার্যালয় বরাবর আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে স্বামীর নাম কীভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তর : বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : বিবাহবিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ যাঁরা করেছেন, তাঁরা আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কীভাবে সংযুক্ত করবেন?
উত্তর : প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ের কাবিননামাসহ সংশোধন ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা পেশা পরিবর্তন করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উল্লেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
প্রশ্ন : জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সঙ্গে কী কী দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তর : এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকরির প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
প্রশ্ন : নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সঙ্গে কী কী দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তর : এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি করপোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
প্রশ্ন : পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কী কী সনদ দাখিল করতে হয়?
উত্তর : পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে তাদের মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে।
প্রশ্ন : ঠিকানা কীভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তর : শুধু আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে ফরম নম্বর ১৩-এর মাধ্যমে
আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোনো ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
প্রশ্ন : বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্রদের বয়স্কভাতা বা অন্য কোনো ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোনো সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না। লোকে যে বলে, জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়সটা বাড়ালে ওই সব ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তর : জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতীত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামাণিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
প্রশ্ন : একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে, কীভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তর : সবার কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : পাস না করেও অজ্ঞতাবশত শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদূর্ধ্ব লিখেছেন, এখন বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কী?
উত্তর : হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) এসএসসি পাস করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
প্রশ্ন : জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর : ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
প্রশ্ন : রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধনের জন্য কী করতে হয়?
উত্তর : রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়।
প্রশ্ন : বয়স/জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কী?
উত্তর : এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদপ্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সব দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
প্রশ্ন : স্বাক্ষর পরিবর্তন কীভাবে করতে হবে?
উত্তর : নতুন স্বাক্ষরের নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
প্রশ্ন : জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, প্রামাণিক কোনো দলিল নেই, তারপরও কীভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তর : সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্ন : একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তর : এক তথ্য শুধু একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে সংশোধন হবে না।
Share:

Categories

Sample Text

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation test link ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.

Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate another link velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur.

Definition List

Definition list
Consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua.
Lorem ipsum dolor sit amet
Consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua.